ফটোগ্রাফি করতে ভালোবাসে এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। এর মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ফটোগ্রাফিকে শুধুই সখ হিসেবেই নয় বরং পেশা হিসেবে বেছে নিতে চান।
বাংলাদেশে বর্তমান প্রজন্মের কাছে ফটোগ্রাফি, অন্যতম স্বাধীন পেশা হিসেবে পরিচিত। ইয়াং জেনারেশনের কাছে এই পেশার প্রতি ঝোক বেশি লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু সঠিক দিক নির্দেশনা না থাকায় অনেকেই এই পেশায় নিজেকে সফল করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। আবার অনেকেই কিভাবে শুরু করা যায় তা নিয়ে সংশয়ে আছেন। আজ তাদের উদ্দেশ্যেই কিছু টিপস শেয়ার করছি।
(১) শুরুতেই প্রচুর টাকা ইনভেস্ট করবেন না
অনেকে ভেবে থাকেন যদি তার কাছে বাজারের সবচেয়ে দামি ক্যামেরাগুলোর একটি থাকে তবে তিনি ভালো ফটোগ্রাফি করতে পারবেন। আর এই চিন্তাধারা থেকে অনেকে শুরুতে একটি ভালো ক্যামেরা বডি কিনতে প্রচুর টাকা খরচ করেন। কিন্তু এধরনের চিন্তাধারা ঠিক নয়। কেনোনা শুরুতে একজন ভালো ফটোগ্রাফার হওয়ার জন্য প্রয়োজন প্রচুর লার্নিং এন্ড প্র্যাকটিস। যা একটি কম বাজেটের ক্যামেরা দিয়ে করাটা অপেক্ষাকৃত কম ঝুকিপূর্ণ এবং বুদ্ধিমানের কাজ। প্রথম অবস্থায় একজন ফটোগ্রাফার ক্যামেরা গিয়ারের সঠিক ব্যবহার যেমন জানে না তেমনই কিভাবে ক্যামেরা গিয়ারের যত্ন নিতে হয় সে ব্যাপারেও থাকে অজ্ঞ।
এছাড়াও অনেকে সাময়িক ভালোলাগার থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্যামেরা কিনতে যান পরে গিয়ে দেখা যায় কিছুদিনের মধ্যেই মোহ কেটে গেলে ক্যামেরা সেভাবে আর ব্যবহার করা হয় না। অতঃপর ক্যামেরাটি আলমারির ভিতর পরে থেকে নষ্ট হয়।
(২) প্র্যাকটিসে সময় দিন
শুধু ভালো ক্যামেরা গিয়ার আপনাকে ভালো ফটোগ্রাফার বানাবে না। পর্যাপ্ত প্র্যাকটিসই আপনাকে একজন ভালো ফটোগ্রাফার হতে হেল্প করবে। একজন কন্ঠশিল্পীর যেমন প্রতিদিন সারগাম করার প্রয়োজন হয় একজন ভালো গায়ক হওয়ার জন্য তেমনি একজন ভালো ফটোগ্রাফার হওয়ার জন্য প্রয়োজন প্রচুর ফটোগ্রাফি প্র্যাকটিস।
(৩) প্রফেশনালদের কাজ দেখুন
আপনি ফটোগ্রাফির যে ফিল্ড নিয়ে কাজ করতে চান সে ফিল্ডের বেস্ট প্রফেশনালদের কাজ দেখুন। প্রথম অবস্থায় তাদের কাজের অনুসরণ করুন। মনে রাখবেন অনুসরণ আর অনুকরণ বিষয় ২টি কিন্তু এক না। প্রতিদিন তাদের কাজের সাথে নিজের কাজের তুলনা করুন। হ্যা এটা সত্যি যে, আপনার কাজ প্রথম অবস্থায় একদমই তাদের সাথে তুলনাযোগ্য হবে না। কিন্তু আপনাকে প্রতিদিনই তুলনা করতে হবে আর বোঝার চেষ্টা করতে হবে কী কারণে আপনার কাজ তাদের থেকে পিছিয়ে আছে।
(৪) আকর্ষণীয় পোর্টফোলিও তৈরী করুন
একজন ফটোগ্রাফার কতোটা যোগ্য কোনো এসাইনমেন্টের জন্য, তা তার পোর্টফোলিও দেখেই বিচার করেন ক্লায়েন্ট। তাই একটি আকর্ষণীয় পোর্টফোলিও বানানোর চেষ্টা করুন। আকর্ষণীয় পোর্টফোলিও বানানো এক-দুদিনের বিষয় নয়। সময়ের সাথে সাথে এটি আপডেটও করতে হয়।
যারা ওয়েডিং বা ফ্যাশন ফটোগ্রাফি নিয়ে কাজ করতে চান তাদের জন্য শুরুর দিকে পোর্টফোলিও বানানো কিছুটা কঠিন বিষয়। তাই শুরুর দিকে প্রয়োজনে ক্লায়েন্টের কাজ ফ্রি করে দিতে হবে। আর এই কাজগুলোর থেকে নিজের পোর্টফোলিও বিল্ড করার চেষ্টা করতে হবে।